মুশফিকুর রহমান মন্জু(হাতিয়া প্রতিনিধি)
হাতিয়া আগুনেদোগ্ধ মেয়ে মুক্তাকে(২২) বাঁচাতে মা মুন্নী বেগমের করুন আহাজারি।তিনি বলেন আমার মেয়ের কষ্ট আর সহ্য হয়না, আমার মেয়ে সারাদিন খালি গায়ে যন্ত্রণায় আহাজারি করছে। এই সময় মুক্তার মা আমার সংবাদ প্রতিনিধিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে আর বলে ঠিকমত কিছু খায়না প্রচন্ড যন্ত্রনায় মাটিতে শুঁয়ে গড়াগড়ি করছে। বলছি হাতিয়া উপজেলার পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আগুনেদগ্ধ মুক্তাবেগমের কথা।মুক্তাবেগ বেগম গেলকিছুদিন আগে ভাত রান্না করতে গিয়ে চুলা থেকে আগুন লেগে তার শরীরের ৩০অংশ পুড়ে যায়। পরে স্থানীয় স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকগন মুক্তা বেগমকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে নেওয়ার ব্যাপেরে পরামর্শ প্রদান করেন। ডাক্তার আরও আশংকা প্রকাশ করে বলেন দ্রুত সঠিক চিকিৎসা না করতে পারলে বিপদ হতে পারে, ডাঃ বিমান আশ্চর্য বলেন তার পরবর্তী ঔষধ ও চিকিৎসার জন্য প্রায় ৮০ হাজার টাকার মতো লাগবে।কিন্তু যেখানে দরিদ্র মুন্নি বেগমের দু’বেলা দু-মুঠো ভাত জোগাড় করতেই হিমসিম খায় সেখানে ৮০হাজার টাকা যোগাড় করা প্রায় স্বপ্নের মতোই ব্যাপার। তাই অসহায়ত্বকে পুঁজি করে আল্লাহপাকের উপর সব ছেড়ে দিয়ে নিরবে কাঁদা ছাড়া বিকল্প পথ দেখছিলন না মুক্তা বেগম, আর কি ই বা করতে পারে মুক্তার পরিবার?।উল্লেখ্য যে চলতি মাসের মাসের ৪/০৩/২০২১ইংতারিখ বাংলাদেশ কুটির হাতিয়া নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাহায্যের হাত বাড়ান এবং ফেইসবুকে বিষয়টি নিয়ে মুক্তার ছবিও ভিডিও সহ পোষ্ট করে জানান মুক্তার কষ্টের কথা।
এই সময় বাংলাদেশ কুটির হাতিয়া এর সাধারন সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মন্জু স্যার বলেন মুক্তার আহাজারি শুনে তার চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করছি। আমি নিজেই দেশ বিদেশের সকল হৃদয়বান বিত্তবান মানুষের সহযোগিতা নিয়ে আহত মুক্তার চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাইছি । বর্তমানে আগুনেদগ্ধ মুক্তাবেগম ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি হাসপাতালের ইার্মজন্সি ওয়ার্ডে ১৮নাম্বার সীটে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছে।
সকলের আর্থিক সহযোগিতা পেলে মুক্তা পাবে তার পূর্বের হারিয়ে যাওয়া সুখের দিন গুলি। মুক্তা বেগমকে
সাহায্যে করতে বাংলাদেশ কুটির হাতিয়া পারসোনাল বিকাশ 01716520074 ।
এই মহূর্তে দেশ বিদেশের যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ প্রদান করেন মুক্তার মা।