মোঃ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়ি,
রামুর গর্জনিয়া বাজারে ৩শ বস্তা ইউরিয়া সারসহ একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। কচ্ছপিয়া উপ-সহকারি কৃষি অফিসার সংবাদের মাধ্যমে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় এসব সার জব্দ করেন পুলিশ। জব্দকৃত সার দুপুর আড়াই টার দিকে উপ-সহকারি কৃষি অফিসার জহিরুল ইসলাম এর মাধ্যমে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। একটি সূত্রে জানা যায়, রামুর মেসার্স ফজল করিম ট্রেডার্স বিসিআইসি (গর্জনিয়া ইউনিয়ন ডিলার) হিসেবে ব্যবসা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। একটি লাইসেন্স এ ফজল করিমের দুই ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও শাহেদুল ইসলাম দুইজনেই ২৮ শে ফেব্রুয়ারি কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি অফিসার জহিরুল ইসলামের সংবাদে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো ঃ ফরহাদ আলীর নের্তৃত্বে এ সার ও গাড়িটি নজরদারীতে রাখেন। জব্দকৃত সারের বিষয়ে সকাল ১০টায় রামু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি সারের বিষয়ে জানেনা বলে জানান। অপর প্রশ্নের জবাবে সরকারি সারগুলো কোথা থেকে ডেলিভারী হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে। কিন্তু সার বুঝাই গাড়ির ড্রাইভার তুহিন জানান, ঢাকার আশুগঞ্জ ঘাটে শীপ থেকে নামানোর পর এই তিন বস্তা ইউরিয়া সার নিয়ে এই গর্জনিয়া বাজারে আসি। যেখানে সরকার ইউরিয়া সারে কোটি কোটি টাকা ভর্তূকি দিচ্ছে, সেখানে সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে বিকেলে সার ও গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী সহ জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এই ব্যাপারে উপ-সহকারি কৃষি অফিসার জহিরুল ইসলাম জানান, উপজেলা কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পারি সারগুলো তার বরাদ্ধকৃত। তাই পরবর্তীতে সারগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি। কিন্তু চট্টগ্রাম বা কক্সবাজার থেকে সার আনার নিয়ম থাকলেও সারগুলো কোথায় থেকে এসেছে তা আমারা জানা নেই। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মাসুদ ছিদ্দিকি সকাল ১০টায় আটককৃত সারের বিষয়ে না জানলেও বিকাল ৩টায় সারগুলো ফেব্রুয়ারি’২০২১ এর তার বরাদ্ধকৃত ৪৫ টনের ১৫ টন বলে জানান। এই বিষয়ে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো ঃ ফরহাদ আলী জানান, সকালে উপ-কৃষি অফিসার জহিরুল ইসলামের সংবাদে সার ও গাড়িটি আমরা নজরদারীতে রাখলেও বিকাল ৩টায় তাদের বৈধ সার দাবী করলে উপ-কৃষি অফিসার জহিরুল ইসলামের জিম্মায় ডিলারের কাছে হস্তান্তর করি।