ঢাকাশুক্রবার , ২৩ এপ্রিল ২০২১
২২শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ৫ই জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সোমবার
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আলোচিত সংবাদ
  5. ক্রিকেট
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. জীবনচিত্র
  9. ফুটবল
  10. বিনোদন
  11. বিশ্ব
  12. ভিডিও গ্যালারি
  13. রাজনীতি
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাগমারায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত এক আহত ১০

Agrajatra 24
এপ্রিল ২৩, ২০২১ ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহীঃ
রাজশাহীর বাগমারায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে হাবিল কাজী (৪০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। ওই ঘটনায় নিহতের পরিবারের আরো ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানাযায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পর উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের মাধাইমুড়ি গ্রামে এঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৪ জনকে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও একজন গুরুতর হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন নিহতের পিতা আজিমুদ্দীন কাজী (৬৫), চাচা আব্দুর রাজ্জাক (৫০), ছেলে সৈকত (১৬), প্রতিবেশেী আব্দুস সাত্তারের ছেলে জুয়েল রানা (২৫), মুনছুর রহমান (৪৬) কে উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য মেডিকলে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও নিহতের ছোট ভাই হাফিজুর সহ বেশ কয়েকজনকে বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

জানাগেছে, নিহতের পিতা আজিমুদ্দীন কাজী ১৯৭৩-৭৪ সালে একই গ্রামের মৃত আসতুল্লাহর কাছ থেকে জমি ক্রয় করে চাষবাদ করে আসছিল। অন্যদিকে তার বোন ছবেজানের নিকট থেকে ১৯৮৩ সালে আবারও জমি ক্রয় করে আজিমুদ্দীন কাজী। সেই জমি ফিরে পেতে একটি পেনশন জারি করে আসতুল্লাহ। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে মহামান্য আদালত আসতুল্লাহর করা পেনশন বাতিল করে আজিমুদ্দীন কাজীর নামে রায় দেয় আদালত। জমিটি ক্রয়ের পর থেকে আজিমুদ্দীন কাজী ভোকদখল করে আসছিল।

এদিকে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে মৃত আসতুল্লাহর ছেলেরা এবং তারই ভাই সেফাতুল্লাহ সহ তার ছেলে একটি ভূয়া দলিল করে জমিটি নিজেদের বলে দাবী করে। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ সহ স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই বৈঠক না হতেই পেশির জোরে বিভিন্ন সময় আজিমুদ্দীন সহ তার পরিবারের কারো না কারো লাশ ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল।

এদিকে নিহত হাবিল কাজী এবং তার একমাত্র ছেলে সৈকত পান বরজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন এমন সময় তাদের পথ আটকিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ মৃত আসতুল্লাহর ছেলে সহ সেফাতুল্লাহ ও তার ছেলে এবং তাদের বউ এরা। বিষয়টি তখন থেমে যায়। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাবিল কাজী সন্ধ্যায় যখন বাড়ির বাহির হলেই আগে থেকেই উতপেতে থাকা অবস্থায় লাঠিসোটা, লোহার রড, হাসুয়া, কোদাল সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তার উপরে।

সেই সময় তাকে একা পেয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষরা। পরে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যায় হাবিল কাজী বলে জানাগেছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে হাবিলের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে তাদের উপরেও হামলা করে তারা। এতে পাঁচ জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ সহ সংগীয় ফোর্স। সেই সাথে রাজশাহী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন।

দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাইকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। অন্যদিকে যারা এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত তারা সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানাগেছে।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, নিহতের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলেই আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।