ভারতসীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের পাদদেশ ঘেঁষে গড়ে উঠা জনপদ নেত্রকোণা। ময়মনসিংহ বিভাগের হাওরঅধ্যুষিত এ জেলায় ৫০০ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠছে দেশের প্রথম ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির নির্মাণ কাজের প্রাথমিক ধাপ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। চারটি বিভাগে চলছে পাঠদান, জেলা সদরের রাজুরবাজারস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্ধারিত স্থানের ভুমি উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষের পথে, যার দরুন প্রকল্প এলাকাটি ইতোমধ্যেই দৃশ্যমাণ।
এবারের ঈদে দেশবিদেশ থেকে নেত্রকোণায় ঈদ করতে আসা স্থানীয়দের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এলাকা। বৈশাখের খড়তাপে ক্লান্ত দর্শনার্থীরা বিস্তীর্ণ বালুময় এ ভুমিতে শেষ বিকেলের স্নিগ্ধতা নিতে ভীড় করে। আর দেশের প্রথম ডিজিটাল বিশ্বিবদ্যালয়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে সুখানুভুতির স্মৃতিটুকু ফ্রেমবন্দী করে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেয় দর্শনার্থীরা। তারপর একপর্যায়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় শেহাবি ক্যাম্পাস। দর্শণার্থীদের ঈদ এর দিনের ভীড়ের সংবাদ স্থানীয় অনলাইন গণমাধ্যম ভয়েস অব নেত্রকোণায় প্রচারের পর ঈদ এর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দিনেও দর্শনার্থীদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। সাথে নেট দুনিয়ায় ফেসবুক পোস্টের ঝড় উঠে। নেটিজেনরা কেউবা আবার না যাওয়ার আফসোসটুকুও ফেসবুক পোস্টে জানান দিচ্ছেন। মোটের উপর নেত্রকোণার নেটিজেনদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়।
এবিষয়ে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এনামুল হক আরাফাত জানান, ঈদে দর্শনার্থীদের ভীড় আমাদের বিস্মিত করেছে। যেহেতু এটি নির্মাণাধীন একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প এলাকা, সেহেতু আমরা দর্শনার্থীদের সতর্কতামূলক সাইনবোর্ডের মাধ্যমে সতর্ক করেছি।