ঢাকারবিবার , ২২ মে ২০২২
২২শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ৫ই জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সোমবার
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আলোচিত সংবাদ
  5. ক্রিকেট
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. জীবনচিত্র
  9. ফুটবল
  10. বিনোদন
  11. বিশ্ব
  12. ভিডিও গ্যালারি
  13. রাজনীতি
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন

Agrajatra 24
মে ২২, ২০২২ ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জয়ন্ত সাহা যতন,স্টাফ করেসপন্ডেটঃ
চলতি মৌসুমে অনুকুল পরিবেশ ও আবহাওয়ার কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উঁচু-নিচু সব ধরণের জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন ফলেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৗসুমে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬ হাজার ৭৮১ হেক্টর। এরমধ্যে অর্জিত হয়েছে ২৬ হাজার ৩০৫ হেক্টর। কৃষকরা উফশী জাতের ব্রিধান- ২৮, ব্রী-৭৪, ব্রী-৮৪, ব্রী-৮৮, ব্রী- ৮৯, ব্রী-৮১, ৮২, ব্রী-২৯, ব্রী- ১০০(বঙ্গবন্ধু) ও বিনা-১৪, এবং হাইব্রিড জাতের হীরা, পারটেক্স, এসিআই, এসক্রল-৮ এইচ চাষাবাদ হয়েছে। এসমস্ত জাতের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উফশী জাতের বিঘা প্রতি ১৮ হতে ২৩ মন এবং হাইব্রিড জাতের বিঘা প্রতি ৩০ হতে ৪২ মন ধানের ফলন হয়েছে। বিশেষ করে কৃষি বিভাগের পরামর্শ যে কৃষকরা বেশি অনুসরণ করেছেন তাদের ফলন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক ভাল ফলন পাওয়ায় কৃষকরাও হয়েছে খুশি। রামজীবনের কৃষক মোতালেব মিয়া জানান, গত বছর ৮ বিঘা জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ করেছিলাম। এবার প্রায় ১৪ বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেছেন। ফলন খুব ভাল হওয়ায় তিনি আনন্দিত। শান্তিরামের কৃষক শাহজামাল মিয়া বলেন, ধানের ফলন দেখে শুধু ধান কাটতেই ইচ্ছে করে। খিদেও অনুভব হয়না। তার জীবনে সবচেয়ে ভাল ফলন হয়েছে এবছর। নিজামখাঁ গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম জানান, বোরো ধানের আবাদ অন্যান্য বছরের চেয়ে ভাল হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাক জানান, মাঠে গিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশিদুল কবির জানান, এবছর এ উপজেলায় বোরো চাষাবাদের জন্য ৬ হাজার ১২৫ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। চলতি মৌসুমে যে পরিমাণে বোরো ধানের ফলন হয়েছে, তা আশে-পাশের কোনো জেলাতেও ফলেনি। কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া আল্লাহর ইচ্ছায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকের মুখে আমরা হাসি ফোটাতে পেরেছি। কৃষকের ফলন ভাল হলে দেশ হবে খাদ্যে স্বয়ং সম্পুর্ন। এতে আমরাও আনন্দিত হই।